বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান |
|
| ||||
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা সাতক্ষীরা।প্রকৃতি যেন নিজ হাতে অপরূপসৌন্দর্যে সাজিয়েছে এ জনপদ ।নদ-নদীর মনোমুগ্ধকর আঁকাবাঁকা গতি, সুন্দরবনের সাজানো গাছের সারি আর বেশ কিছু পুরনো স্থাপনা সহজেই মুগ্ধকরে দর্শক-পর্যটকদেরকে । | ||||||
| সাতক্ষীরা সদর উপজেলা |
|
| |||
|
|
| ||||
মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট | মোজাফ্ফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট খড়িবিলা সাতক্ষীরায় অবস্থিত। যার স্বত্তাধীকারী জনাব কে এম খায়রুল মোজাফ্ফর (মন্টু)।যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালে। এই গার্ডেনের আয়তন: আনুমানিক ১২০বিঘা / ৪০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত যা পাকা প্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্ঠিতএবং সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্র (জিরো পয়েন্ট) হতে ৪ কিলোমিটারপশ্চিমেঅবস্থিত । |
| ||||
| প্রয়োজনীয় তথ্য |
| ||||
| শহর থেকে আনুমানিক দুরত্ব | ৭কিলোমিটার। | ||||
| রাস্তার নাম | সাতক্ষীরা -শ্যামনগর সড়ক | ||||
| স্পটে পৌছানোর ব্যয় | ২০ টাকা | ||||
| ভ্রমণের জন্য পাওয়া যায় | রিকসা, ভ্যান | ||||
মায়ের মন্দির |
|
|
|
| ||
| উপজেলা সদরের ১ কিলোমিটার পূর্বদিকে পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি । এ স্থানে আছে পাঁচটি ভিন্ন নামের মন্দির । এগুলোর নাম-‘কালীমাতা মন্দির’‘শিবমন্দির’,‘কালভৈরব মন্দির’,‘অন্নপূর্ণা মন্দির’,‘রাধাগোবিন্দ মন্দির’ । একই স্থানে পাঁচটি মন্দির বলে এগুলো একত্রে পরিচিত ‘সাতক্ষীরা পঞ্চমন্দির’ নামে । মন্দিরগুলো সহজে নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের । এগুলোর নির্মাতা জমিদার বিষ্ণুরাম চক্রবর্তী । তিনি ১৭৯৭ সালে স্থায়ীভাবে চলে আসেন সাতক্ষীরাতে। নিজের পরগনায় পুজো-অর্চনার জন্য তিনিএ মন্দিরগুলো নির্মাণ করেছিলেন । ভিন্ন মাপ, আকার ও প্রকারের এ প্রাচীন স্থাপনা দেখতে আসেন সব ধর্মের লোকেরা । বিশেষ করে মন্দির চত্ত্বরে যে অন্নপূর্ণা মন্দিরটি আছে তা এককথায় অপূর্ব । ৪৫ ফুটউঁচু আর ২৪ফুটO২২ফুট ৩ ইঞ্চিমাপের এ মন্দিরটি নিচ থেকে আস্তেআস্তেসরুগম্বুজ হয়ে চূড়ার রুপ ধারণ করেছে । এর গায়ে যে ইট ব্যবহার করাহয়েছে তাতে নানা রকমের টেরাকোটা চিত্র বহু বছরের পুরনো হলেও টেরাকোটাগুলো সহজে আকর্ষণ করে দর্শনার্থীদেরকে । |
| ||||
| প্রয়োজনীয় তথ্য |
| ||||
| শহর থেকে আনুমানিক দুরত্ব | ৩ কিলোমিটার | ||||
| রাস্তার নাম | সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক (পুরাতন সাতক্ষীরা) | ||||
| স্পটে পৌছানোর ব্যয় | ১০ টাকা |
| |||
| ভ্রমণের জন্য পাওয়া যায় | রিকসা/ ভ্যান | ||||
মায়ি চম্পার দরগা | উপজেলার ৩ কিলোমিটার উত্তরের গ্রাম লাবসা; এখানে আছে ‘মায়ি চম্পার দরগা’ ।গাজী-কালু-চম্পাবতীর পুঁথী বাংলা লোক সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় ও পরিচিত উপাখ্যান । এতে অতিরঞ্জিত তথ্য আছে ঠিকই । কিন্তুতারপরও গাজী-কালু -চম্পাবতী ঐতিহাসিকতা অস্বীকার করেননি কোন ঐতিহাসিক । বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক গাজী,কালু চম্পার স্থান, সমাধি দরগা আছে । তবুও অধিকাংশ ঐতিহাসিক একমত যে, চম্পাবতীর আসল সমাধিটি অবস্থিত সাতক্ষীরালাবসা গ্রামে ।শেষ জীবনে আধ্যাত্মিক প্রজ্ঞা ও পরোপকারের জন্য চম্পাবতী সাধারণের কাছে পরিচিত হয়েছিলেন মা চম্পা নামে । লোকে তাকে মায়ের মতো ভক্তি শ্রদ্ধা করতো ।মাজারের পশ্চিমপাশে আছে বিশাল এক চম্পাফুলের গাছ । সচরাচর অত বড় চম্পাফুলের গাছ চোখে পড়ে না |
| ||||
| প্রয়োজনীয় তথ্য |
|
| |||
| শহর থেকে আনুমানিক দুরত্ব | ৩ কিলোমিটার |
| |||
| রাস্তার নাম | সাতক্ষীরা-যশোর সড়ক | ||||
| স্পটে পৌছানোর ব্যয় | ১০ টাকা |
| |||
| ভ্রমণের জন্য পাওয়া যায় | রিকসা/ ভ্যান |
| |||
|
|
|
| |||
জোড়া শিবমন্দির | সাতক্ষীরা শহরথেকে পাঁচ কিলোমিটার উত্তরেআছে ‘ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দির, নানা বৈচিত্র্যের টেরাকোটা ইটে নির্মিত ‘ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দির, । ১২২০ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ মন্দিরদুটো নির্মাণ করেছিলেন ফকিরচাঁদ ঘোষ । দুটো মন্দিরই বর্গাকৃতি ১৫ফুট-৯ইঞ্চিO১৫ফুট-৯ইঞ্চিমাপের । মন্দির দুটোর বিশেষত্ব হলো এর গায়ের টেরাকোটাগুলো বৈচিত্রময় । ফুল, লতা-পাতা, পরি, বাদক, অশ্বারোহী, দেবদেবী, হসিত্মরোহী ইত্যাদি চিত্রের এ টেরাকোটার কারণে পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে । বর্তমানে মন্দির দুটো পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে, তবে কমতি নেই দর্শনার্থীর । সাতক্ষীরা জেলায় যতগুলো টেরাকোটা শিল্প আছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ টেরাকোটার কাজ এই ‘ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দির’-এ । |
| ||||
| প্রয়োজনীয় তথ্য |
|
| |||
| শহর থেকে আনুমানিক দুরত্ব | ৮ কিলোমিটার |
| |||
| রাস্তার নাম | ছয়ঘড়িয়া সড়ক |
| |||
| স্পটে পৌছানোর ব্যয় | ২০ টাকা |
| |||
| ভ্রমণের জন্য পাওয়া যায় | বাস/রিকসা/ ভ্যান |
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস